Jio ভারতীয় টেলিকম জগতে প্রবেশের পর ইন্ডিয়ান টেলিকম মার্কেটে বিপুল পরিবর্তন এসেছে। সেটা শুধু ইন্টারনেট স্পিড বা আনলিমিটেড কলিং এর বেলাই নয় ,এমন কি ভ্যালিডিটি পিরিয়ড বেলাও পরিবর্তন এসেছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন এখন অধিকাংশ মোবাইল প্ল্যান ৩০ দিনের না হয়ে ২৮ দিনের। হঠাৎ করে ২দিন কমিয়ে দেওয়ার কারণ কি ?
এটি আসলে একটি চমৎকার অথচ সিম্পল ব্যবসায়িক লাভের কৌশল এবং এর দ্বারা বাৎসরিক মাসের হিসেব, নেট ওয়ার্ক প্রোভাইডার কোম্পানি গুলোর ক্ষেত্রে, বছরে বারো মাস নয় ! বরং ১৩ মাস !! যদি ২৮ দিনের হিসেবে ভ্যালিডিটি ধরা হয় , জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর অবধি, প্রতি মাসে ২৮ দিন করে ধরলে, বছরের শেষে ২৯ দিনের পার্থক্য চলে আসে ।
উপরের চার্টটি দেখলেই বুঝবেন ২৮ দিন করে হিসাব ধরলে , বছরে ২৯ দিন= (৩+০+৩+২+৩+২+৩+৩+২+৩+২ +৩) বাকী থেকে যাচ্ছে।
সাধারণত আমরা প্রতি মাসেই আমরা মোবাইল রিচার্জ করি এবং সেই ভাবে স্বাভাবিক মনস্তত্ব গঠন হিসাবে ১২ টি রিচার্জ ভাবি আমরা বছরে , কিন্তু আসলে,২৮ দিনের কারণে, প্রায় তেরো মাসের সমান হয়ে যায়।
আর টেলিকম কোম্পানি গুলি কায়দাটা এমন সূক্ষ ভাবে ডিজাইন করেছে যে জিনিসটা আপনি তলিয়ে ভেবে না দেখলে সহজে ধরতে পারবেন না।
ধরা যাক, মাসে ১২৯ টাকা করে প্রতিটি রিচার্জ, তাহলে, বছরে, বারো মাসে, ১২৯x১২=১৫৪৮ টাকা, মানে ওই ১৫৫০টাকার ।
কেউ যদি সারাবছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ওই ২৮ দিনের প্যাক ব্যবহার করতে থাকেন, সেক্ষেত্রে কিনতু, খরচ হচ্ছে, ১২৯x১৩=১৬৭৭ টাকা। কারণ, ২৮ দিনের হিসেবে, পুরো বছর ধরলে , ওই বছরের মোট রিচার্জের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩ টি। ১২৯ টাকা করে, ১৩ টি রিচার্জ (১২৯ x১৩)। অর্থাৎ প্রায় ১৫৫০ টাকার জায়গায় আপনার খরচ হচ্ছে প্রায় ১৭০০ টাকা।
গ্রাহকের মনস্তত্বের দিকে খেয়াল রেখে, বছরে বারো মাসে, তেরো মাসের ব্যবসা করে, অধিক মুনাফা লাভের একটি সুচিন্তিত কৌশল।
ঠিক এই কারণেই , টেলিকম কোম্পানি গুলি ভ্যালিডিটি, ৩০ নয়, ২৮ দিনের করে ।আর এই ব্যাপারে পথপ্রদর্শক অবশ্যই Jio .
এটি আক্ষরিক অর্থেই “বারো মাসে তেরো পার্বণ” কে, সফল ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজীতে পরিণত করার, একটি সুচতুর প্রয়াস।
#jio #technews