ইলেকট্রিক গাড়িই যে ভবিষ্যৎ এটা মোটামুটি সব কার ম্যানুফ্যাকচাররাই বুঝে গেছেন। এবার তাদের সাথে এগিয়ে এলো সরকারও। জনগণকে ইলেকট্রিক কার কিনতে উৎসাহ দিতে এবার ওড়িশা গভর্মেন্ট ইলেকট্রিক গাড়ির উপর আকর্ষণীয় ইনসেন্টিভ স্কিম বা ‘উৎসাহ ভাতা’ চালু করার প্রস্তাবনা পেশ করেছে। ETAuto-র রিপোর্ট মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। গতমাসে জারি করা EV (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) বা বৈদ্যুতিন গাড়ি সংক্রান্ত যে খসড়া নীতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ইলেক্টিক গাড়ি কিনলেই গ্রাহকরা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিডি পাবেন। এছাড়াও, ওড়িশা সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালে মোট গাড়ির অন্তত ২০ শতাংশ যেন ব্যাটারি পরিচালিত ইলেকট্রিক গাড়ি হিসেবে নিবন্ধীকরণ হয়।
এই সরকারি খসড়া নীতি অনুযায়ী, দু’চাকার বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনলে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা ভর্তুকি এবং তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা সাবসিডি মিলবে। আবার চার চাকার ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ইনসেন্টিভের পরিমান ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাবে। ড্রাফট নোটিফিকেশনে এও বলা হয়েছে, “সরকারী কর্মচারীরা ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার জন্য সুদবিহীন লোন নেওয়ার সুযোগ পাবেন।” নীতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সরকারী ডিপার্টমেন্ট বা সরকারী অফিসের পাশাপাশি, পাবলিক সেক্টরে সরকারিভাবে ব্যবহারের জন্য ব্যাটারিচালিত যানবাহকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তদুপরি, পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিন গাড়ির জন্য ভর্তুকিযুক্ত পার্কিং স্পেস সরবরাহ করবে এবং উপযুক্ত ব্যাটারি চার্জিং অবকাঠামো তৈরি করা হবে। এছাডাও, ওড়িশা সরকার ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মকুব করার কথা চিন্তাভাবনা করছে।
বর্তমানে ওড়িশার সড়কে ছুটে চলা বৈদ্যুতিন গাড়ির পরিমান মাত্র ৩,৫০০। সেখানে ২৬ লক্ষের বেশী গাড়ি তেলে চলে এবং সেখানকার মোট গাড়ির ৮২ শতাংশ অর্থাৎ ২১ লাখ গাড়িই হচ্ছে দু’চাকার। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতেই এই নতুন নীতি।
ইলেকট্রিক গাড়ি সংক্রান্ত ড্রাফট নীতিতে বলা হয়েছে, “আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিল্ডিংয়ের মালিকদের তাদের প্রাঙ্গনে প্রাইভেট চার্জিং পয়েন্ট স্থাপনের জন্য উৎসাহ প্রদান কর হবে। আবাসন ও নগর উন্নয়ন বিভাগ দ্বারা আবাসন নীতিমালায় চার্জিং অবকাঠানো গড়ে তোলা বাধ্যতামূলক করা হবে। সরকার প্রথম ২০,০০০ পয়েন্টের চার্জিং সরঞ্জাম কেনার জন্য ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান করবে।