আপনি ইনস্টাগ্রামে আপনার ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।  এর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েশনে ব্যয় করছেন ,রিলস বানাচ্ছেন ,একগাদা হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করছেন। কিন্তু তবুও কিছুতে আপনার আশানুরূপ ফলোয়ার বাড়ছে না। মাত্র কয়েকটা লাইক আর পরিচিত ফলোয়ারের কমেন্ট।  ভাবছেন কি ভাবে আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়াবেন ? আপনার জন্য আমি নিয়ে এসেছি স্টেপ বাই স্টেপ গাইড এবং টিপস যেগুলো আপনি ঠিক থাকে করে প্রয়োগ করলেই অর্গ্যানিক্যালি  আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা হু হু করে বাড়বে।  এগুলো বহুদিনের মার্কেট রিসার্চ করে বের করা প্রাকটিক্যাল টেকনিক। ম্যাজিকালি আজকের জগতে কিছুই হয় না।  কিন্তু আপনি যদি ধৈর্য ধরে সঠিক ভাবে এই টিপস গুলো ফলো করেন তাহলে আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়বেই।

 

১. আপনার bio কে অপ্টিমাইজ করুন

ইনস্টাগ্রাম আমাদের ১৫০ কারেক্টরের bio লিখতে দেয়।  এই ১৫০ ক্যারেক্টার গুলোর সর্বোচ্চ সঠিক ব্যবহার করুন। আপনার ইনস্টাগ্রাম বায়োই আপনার  সম্ভাব্য অনুগামীদের বলে যে আপনি কে, আপনি কি সম্পর্কে পোস্ট করেন , এবং লোকেরা আপনার প্রোফাইল ফলো করার পর আপনার থেকে কি পেতে পারে। তাই bio  তে আপনি কি লিখছেন সেটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।

  • আমার মতে  একটি আদর্শ bio তে নিজের জিনিস গুলো থাকতে হবে
  • আপনি যা করেন তার একটি স্পষ্ট বর্ণনা
  • আপনার ব্যক্তিত্বের ছোঁয়া একটা call to action (shop, read more, contact us, etc.) একটা লিংক

Instagram bio hack

২. ইনস্টাগ্রামে পোস্ট আপনার জন্য আদর্শ সময় নির্বাচন করুন

লক্ষ করলে দেখবেন আমি কিন্তু বলিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার আদর্শ সময় নির্বাচন করুন। বলেছি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার  ‘আপনার জন্য’ আদর্শ সময় নির্বাচন করুন।
কারণ সত্যি কথা হলো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার কোনো ইউনিভার্সাল ম্যাজিক সময় নেই। এটা প্রত্যেক creator এর জন্য আলাদা আলাদা। তবে আপনার ফলোয়ারদের  জন্যকোন সময় পোস্ট করলে সব থেকে বেশি রিচ পাওয়া যাবে এটা বের করার কিছু উপায় আছে।
প্রথমেই বলি আপনার অডিয়েন্স কখন অনলাইন থাকে এটা খুঁজে বের করতে আপনি ইনস্টাগ্রাম ইনসাইটের সাহায্য নিন। আপনার Instagram business profile থেকে “Insights”বাটনে ট্যাপ করুন।
এরপর স্ক্রল করে “Your Audience,” এ গিয়ে “See All.” এ ট্যাপ করুন। এখান থেকে সব থেকে নিচে স্ক্রল করে কোন সময় আপনার অডিয়েন্স রা সব থেকে বেশি একটিভ থাকে সেটিকে এনালাইজ করুন। ©smartbengali
এর সাথে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কোন কনটেন্ট কখন বেশি রিচ পেতে পারে। এক্সাম্পল হিসাবে বলা যেতে পারে ধরুন আপনি একটা কুকিং রেসিপির ভিডিও পোস্ট করছেন সে ক্ষেত্রে সেটা অফিস টাইমের বাইরে পোস্ট করলেই বেশিরিচ পাবে কারণ মানুষ ওই সময় বেশি রান্না করেন।  আবার ধরুন আপনি কোন খেলার আপডেট দিতে চান সেক্ষেত্রে সেটা বিকালের দিকে হলে বেশি লোক দেখতে পাবে।
এই জিনিসটা আপনাকে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট করে এবং সেই পোষ্টের ইংগেজমেন্ট দেখে ট্র্যাক করতে হবে। কিছুটা ট্রায়াল এন্ড এরর প্রসেস।
এই বিষয়ে আরো in-depth আরেকটি গাইড আমি লিখেছি সেটা আপনি আমাদের এই স্মার্ট বেঙ্গলি ওয়েবসাইট থেকে পড়তে পারেন।

৩ নিয়মিত পোস্ট করুন

শুধু পোস্ট করাই নয় আপনি নিয়মিত পোস্ট করছেন কিনা সেটাও খুব বেশি ম্যাটার করে.  2021 সালের একটি স্টাডিতে দেখা গেছিল অধিকাংশ বিজনেস প্রোফাইল সপ্তাহে গড়ে 4 টি পোস্ট করে থাকে। তবে আমরা বলব দিনে এটলিস্ট একটা পোস্ট করা ভালো। যে সমস্ত বিজনেস প্রোফাইল প্রতিদিন অন্তত একটি করে পোস্ট করে দেখা গেছে তারা সব থেকে বেশি ভালো ফল পেয়েছে। যদি আপনি নিয়মিত পোস্ট করেন এবং সেই পোস্টগুলি ভালো এনগেজমেন্ট পেতে থাকে তাহলে ইনস্টাগ্রাম অ্যালগরিদম অটোমেটিক্যালি আপনার পোস্ট আরও বেশি করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের ফীডে শো করতে শুরু করবে। তবে অবশ্যই পোস্ট করার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি বেশিগুরুত্বপূর্ণ কোয়ান্টিটি থেকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে বলে তার মানে এই নয় যে যেকোন কিছু রেনডম কনটেন্ট পোস্ট করবেন। আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য যে ধরনের কনটেন্ট পারফেক্ট হবে সেই সমস্ত কনটেন্ট ই পোস্ট করুন। আর প্রতিদিন পোস্ট করার জন্য বোরিং কাজটি আপনি যদি অটোমেটেড করতে চানসেক্ষেত্রে আপনি instagram post  scheduler  এর  সাহায্য নিতে পারেন।   এ বিষয়ে আপনি আমাদের কিভাবে ইনস্টাগ্রাম সিডিউল টুল কাজ করে সে বিষয়ে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

৪ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে পরীক্ষা করুন

বর্তমান ইনস্টাগ্রাম শুধুমাত্র ফটো পোস্ট করার একটি ওয়েবসাইট নয়।  বিগত কয়েক বছর ধরে ইনস্টাগ্রামের অনেক বেশি পরিবর্তন ঘটেছে বর্তমানে শুধুমাত্র ফটোই নয় আরো বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ভিডিও আর্টিকেল ইত্যাদি নানা ধরনের সৃষ্টি আপনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে পারেন।  তাই শুধুমাত্র একই ধরনের কনটেন্ট পোস্ট না করে যদি আপনি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পোস্ট করেন তাহলে আপনি আরও অনেক বেশি wide-ranging অডিয়েন্সের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। এর ফলে আপনার পোষ্টের রিচ বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।মনে রাখবেন ইনস্টাগ্রাম অ্যালগরিদম প্রত্যেক ইউজারের কি ধরনের কনটেন্ট পছন্দ ঠিক সেই ধরনের কনটেন্টটি তাকে সাজেস্ট করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ধরুন কেউ একজন ফটো থেকে reels  বেশি পছন্দ করে সেক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম অ্যালগরিদম তাকে ফটোর থেকে বেশি পরিমাণে reels  তার ফীডে শো করবে।

এক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে ফটো না reels  কোন ধরনের কনটেন্ট বেশি পোস্ট করা ভালো।এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে না থাকলেও এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় মেটা কর্তৃপক্ষ ফটোর থেকে reels  কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমানে এবং reels  দেখতে বেশি মানুষ  পছন্দ করেছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে টিকটকের বিভিন্ন দেশের ব্যান হয়ে যাওয়া। ©smartbengali

শুধু রিলিস ই নয় ইনস্টাগ্রাম স্টোরির ও অনেক বেনিফিট আছে। বিশেষত আপনার যদি টেন থাউজেন্ড ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ এর সাথে লিংক শেয়ার করে আপনার ইনস্টাগ্রামের ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে পাঠাতে পারেন।

এর সাথে carousel পোষ্টের মাধ্যমে আপনি দশটি ছবির দ্বারা mini story শেয়ার করতে পারেন। এই ধরনের পোস্টএর  আরও অনেক ডিমান্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফটো ,স্টোরি, ভিডিও রিল এই এতো ধরনের কনটেন্ট এর মধ্যে কোন ধরনের কনটেন্ট সবথেকে বেশি engagement  পায় তার নির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। তাই এক্ষেত্রে বেস্ট উপায় হল সব ধরনের কনটেন্ট অল্প করে পোস্ট করা।  এতে আপনার প্রোফাইলের ভার্সেটাইলিটি  বাড়ে।  যেটা আপনার প্রোফাইলে ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য করে।

Reels

৫  কিভাবে Instagram algorithm কাজ করে বুঝুন

যখন meta কর্তৃপক্ষ প্রথম chronological feed থেকে ranked timeline সিস্টেম শুরু করে অনেক ইনস্টাগ্রাম ইউসারই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিবর্তনের পর থেকে একটা পোস্টের গড় ভিউ প্রায় ৫০% বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা বলবো ইনস্টাগ্রাম এলগোরিদম কি করে কাজ করে এটা জানার পিছনে সময় নষ্ট না করে কি ভাবে এই ranked timeline তার অ্যাডভান্টেজ নেওয়া যায় সেটার পিছনেসময় ব্যায় করুন।

৬ টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর আছে যেগুলোর দ্বারা কোনো পোস্ট কোনো ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার কারীর টাইমলাইনে শো করবে তা নির্ধারণ করা হয়।

১ Interest: ইনস্টাগ্রাম মনে করে পূর্ববর্তী কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি পোস্টটি কতটা পছন্দ করবে।
২ Timeliness: পোস্টটি কত রিসেন্ট।
৩ Relationship একজন ব্যক্তি নিয়মিতভাবে যে সমস্ত একাউন্ট এর পোস্টে লাইক করে থাকে।
৪ Frequency: ব্যক্তিটি ইনস্টাগ্রাম দিনে কত বার ব্যবহার করে।
৫ Following: ব্যক্তিটি ইনস্টাগ্রামে যেসব একাউন্ট ফলো করে।
৬ Usage:ব্যক্তিটি দিনে কত সময়ের জন্য ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।

উপরের ৬টি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে ইনস্টাগ্রাম প্রত্যেক ইউসারের জন ফিড তৈরী করে। আপাতভাবে একসাথে এই ছোট ফ্যাক্টর মাথায় রাখা কঠিন মনে হতে পারে তাই সবথেকে ভালো পন্থা হলো হাই কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিয়মিত পোষ্ট করার জন্য ফোকাসড থাকা।

৬ আপনার ব্র্যান্ডের থিমকে এস্টাবলিশ করুন

ইনস্টাগ্রামে মানুষ আপনার বিজনেস প্রোফাইল শুধুমাত্র সেলফ পোস্ট বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পোস্ট দেখার জন্য ফলো করেনা তারা আপনার ব্র্যান্ড কে ফলো করেন কারণ তারা আপনার পার্সোনালিটি এবং আপনার কনটেন্ট কে পছন্দ করে তাই অন্য কোন থিয়েটারের যে সমস্ত পোস্ট পপুলার হয়েছে সে একই ধরনের পোস্টে আপনার ক্ষেত্র পপুলার হবে তার কোনো মানে নেই। তাই অন্য কাউকে ফলো না করেআপনাকে আপনার নিজস্ব ইউনিক কন্টেন্ট বানানোর দিকে নজর দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কারোর কারোর  ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল অনেক বেশি প্রফেশনাল। আবার কারোর কারোর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল অনেক বেশি পার্সোনাল এবং সেক্ষেত্রে পোস্ট করার ধরণ আলাদা।  তাই আপনাকে ডিসাইড করতে হবে যে আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এর ধরণ কি হবে।  সেটা কি মজা নাকি ইনফরমেটিভ নাকি নিছকই নিরস তথ্যে ভরা। তবে  আপনার পার্সোনালিটি অবশ্যই আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল চেক করার সময় যাতে মানুষ যেন বুঝতে পারে।  আপনি যে কনটের বানাচ্ছেন সেই ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনি প্যাশনেট আপনি কোন জিনিস নিজে বিশ্বাস করেন বলেই টোও  সেই বিষয়ে আপনি বানাচ্ছেন কনটেন্ট।  তাই আমার মনে হয় এই  ফিলিংসটা আপনাকে আপনার ফলোআপ দের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে হবে।

instagram brand establishment

৭ পোষ্টের জন্য সঠিক ক্যাপশন নির্বাচন করুন

দারুন একটা ছবি মানুষের অ্যাটেনশন স্ন্যাচ  কাজ করতে পারে কিন্তু সাথে একটা দারুন ক্যাপশন পোস্ট টিকে লাইক করাতে সাহায্য করে।  শুধু তাই নয় ক্যাপশনে আপনাকে একটি পোস্ট সম্পর্কে আরো ডিটেলে এক্সপ্লেন করার সুযোগ দেয় এবং আপনি বুদ্ধি করে ক্যাপশন এর মধ্যে আপনার পোষ্টের কীওয়ার্ডগুলি কে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন।  বর্তমান ইনস্টাগ্রম ক্যাপশন সর্বোচ্চ 2200 ক্যারেক্টারের হতে পারে।  তার মানে এই নয় যে আপনাকে সমস্ত ক্যাপশনই  অতগুলি ক্যারেক্টারের লিখতে হবে। বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ক্যাপশন লিখে পরীক্ষা করুন  .. কিছু কিছু ছবি এক লাইন সুন্দর বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাপশন দিয়ে অনেক বেশি reach পেতে পারে আবার কিছু কিছু ছবির ক্ষেত্রে দীর্ঘ ক্যাপশন প্রয়োজন হয়।  কারণ সেক্ষেত্রে ছবিটি সম্পর্কে অনেক কিছু বেশী বোঝানোর থাকতে পারে। তাই আমাদের রিসার্চ মতে 200 থেকে 400 শব্দের ক্যাপশন সবথেকে ভালো রেজাল্ট দেয় এবং অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রোফাইলে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যএর  ক্যাপশন পোস্ট করে দেখতে হবে কোনটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

৮ সঠিক হ্যাশট্যাগ প্রয়োগ করুন

সঠিক #instagram এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর থেকে ইনস্টাগ্রামে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার প্রত্যেকটি পোস্টের জন্য সঠিক হ্যাশট্যাগ নির্বাচন করুন। এজন্য আপনি বিভিন্ন ফ্রী ইনস্টাগ্রাম টুলস যেমন ডিসপ্লে প্রসেসর এই সমস্ত ওয়েব সাইটের ব্যবহার করতে পারেন। এক্সাম্পেল হিসেবে বলা যায় ডিসপ্লে পারপাসে আপনি আপনার ছবিটি সম্পর্কে কয়েকটি ওয়ার্ড ইনপুট হিসেবে দিলেই। এই ছবির সাথে কোন কোন হ্যাশট্যাগ গুলি সবথেকে বেশি সঠিক যেতে পারে সেই সমস্ত হ্যাশট্যাগ গুলি শো করবে। তাই আপনি যদি আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়াতে চান।  হ্যাশট্যাগ খুবই এসেনশিয়াল জিনিস। হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে আপনার কনটেন্ট আরও লক্ষ লক্ষ কন্টেন্টের মধ্যে থেকে ফিল্টার করতে ইনস্টাগ্রাম অ্যালগরিদম কে সাহায্য করে। ইনস্টাগ্রাম সর্বোচ্চ 30 টি হ্যাশট্যাগ প্রতিটি পোস্টে এলাও করে সেইজন্য আপনি অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ইউজ করবেন না।  খুব বেশি হ্যাশট্যাগ এবং একই হ্যাশট্যাগ বিভিন্ন পোস্টে বারবার ব্যবহার করলেন ইনস্টাগ্রাম অ্যালগরিদম দ্বারা আপনি রেস্ট্রাইক্ট হয়ে যেতে পারেন। এই ঘটনাকে বলা হয় শ্যাডো ব্যান . এই বিষয়ে বিস্তারিত আপনি আমাদের লেখা এই পোস্টটি থেকে পড়তে পারেন।

৯ আপনার অডিয়েন্সের সাথে এনগেইজড হন

ইনস্টাগ্রাম গ্রোথ এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল এঙ্গেজমেন্ট। অনেকেই একটা ভুল করে থাকে তারা তাদের কন্টেন্টের লাইক এবং কমেন্ট নিয়ে প্রকাশ করে। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে একটি অর্গানিক মাধ্যম।  তাই এক্ষেত্রে সেই লাইক এবং কমেন্ট গুলো আসছে যে সমস্ত মানুষ জনের কাছ থেকে সেই সমস্ত মানুষদের সাথে আপনার এঙ্গেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন কেউ আপনার কনটেন্ট দেখছে মানে সে কিন্তু আপনাকে এই মুহূর্তে ফলো করছে , তা নাও হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সেই পোটেনশিয়াল সম্ভাব্য ফলোয়ারের সাথে ইন্টারেকশন করেন , তাহলে সম্ভবত সেই আপনার প্রোফাইলটা ফলো করতে পারে। তাই প্রত্যেকটি কমেন্টকে আপনি আরআরেকটি নতুন ফলোয়ার পাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখুন।©smartbengali

শুধুমাত্র আপনার ফলোয়ার রাই কনভারসেশন শুরু করবেন এই আশায় বসে না থেকে নিজেই বিভিন্ন ধরনের এনগেজমেন্ট অপরচুনিটি শুরু করুন। ইনস্টাগ্রাম স্টিকার এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোশ্চেন অ্যানসার অথবা পোল করতে পারেন।  আপনি ইনস্টাগ্রম স্টোরি তে আপনার ফটো ক্যাপশন এর মধ্যেও আপনি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করুন যেমন লিখতে পারেন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড কে ট্যাগ করুন এই ফটোতে এই ধরনের কমেন্ট আপনার ফটোতে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করে যা আপনার প্রোফাইলে ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য করে।

১০ অন্য creator দের সাথে collaborate করুন

অন্যান্য creator এবং influencer দের সাথে পার্টনারশিপ আপনার ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য করে।  তাই আপনার Genre এর অন্যান্য creator দের সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করুন এবং তাদের সাথে কোলাবোরেশন প্রজেক্ট এবং পার্টনারশিপ করার চেষ্টা করতে পারেন। উদাহরণ উদাহরণস্বরূপ আপনি আপনার কোন ব্যাকলিংক করতে পারেন এবং তাদের কেও একই কাজ করতে বলুন। আর আপনার কাছে যদি বাজেট থাকে তাহলে আপনি অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটর দেরকে টাকা নিতে পারেন আপনার ব্র্যান্ডকে প্রমোট করতে এবং এক্ষেত্রে কম ফলোয়ার থাকা ইনফ্লুয়েন্সার যাদেরকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয় তাদের সাথে কলাবরেশন করা বেশি ইম্প্যাক্টপুল।

উপরে আমি মোট ১০টি পদ্ধতি আলোচনা করলাম -কি ভাবে আপনি আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়াবেন।  সব শেষে বলি এমন কোনো নির্দিষ্ট ম্যাজিক্যাল ফর্মুলা নেই ,যেটি ব্যবহার করে রাতারাতি আপনার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা হুহু করে বাড়বে ।  কিন্তু উপরের ট্রিক্স গুলি ব্যবহার করলে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে এবং উপরের সব কটি পদ্ধতি নানাভাবে পরীক্ষিত . সব থেকে বড় কথা এই পদ্ধতিগুলি আপনাকে অর্গানিক ফলোয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই দেরি না করে এখনই এই ইনস্টাগ্রাম ট্রিকস গুলো ব্যবহার করতে শুরু করুন। বাংলায় এই ধরনের আরও টেকনিক্যাল আর্টিকেল ফলো রতেছি পেতে গেলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করতে ভুলবেন না।  আর এখনও যদি আমাদের youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব না করে থাকেন এখনই করে ফেলুন।

 

 

 

 

 

 

.

 

Tagged in:

,