মহাশূন্যে বা পৃথিবীর বাইরে শিল্পকলা পাঠানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ধাতব পাতে ভিনগ্রহীদের উদ্দেশ্যে  বিশেষ সাংকেতিক বার্তা পাঠিয়েছিলেন কসমোলোজিস্ট কার্ল সাগান। তাছাড়া চাঁদে রয়েছে একটি অপূর্ব আ্যলুমিনিয়ামের ভাস্কর্য। আমেরিকা ও রাশিয়ার ‘মহাকাশ-দৌড়ে’র প্রতিযোগিতার মূল্য দিতে গিয়ে  নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বহু অভিযাত্রী, তাঁদের মনে রেখেই সেই আ্যলুমিনিয়ামের ভাস্কর্য  ঠাঁই পেয়েছে চাঁদের বুকে । আবারো  চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাশূন্যে উড়ান দিচ্ছে ব্রিটিশ শিল্পী সাশা জাফরির (Sacha Jafri) একটি ছবি। শিরোনাম, ‘উই রাইজ টুগেদার উইথ দ্য লাইট অফ দ্য মুন।’ সোনা-আ্যলুমিনিয়ামের একটি মিশ্র ধাতব পাতে ছবিটি খোদাই করেছেন সাশা। যাতে চাঁদের তাপমাত্রা সইতে পারে তাঁর চিত্রকলা (Painting)। চলতি  বছরের শেষদিকেই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার মহাকাশযান। এবং সেখানেই একটি বিশেষ অঞ্চলে  ঠাঁই পাবে ছবিটি।

একটি ছোট্ট হার্টের মধ্যে কাঠির মতো মানুষরা খেলে বেড়াচ্ছে। তাকে ঘিরে আরো হার্ট ও কিছু ছোটো ছোটো লেখা–সাশার এই চিত্রকল্প আপাতচোখে সরল মনে হলেও, আসলে সেটি মানবজাতির তরফে একটি অর্থপূর্ণ বার্তা বহন করে। ভবিষ্যতে কোনো ভিনগ্রহী প্রাণীর কৌতূহলোদ্দীপক বস্তু হয়ে উঠতে পারে এই ছবিনি। আপাতত যা জানা গেছে  ছবিটির রঙিন সংস্করণ নিলামে উঠবে, স্পেসশিপ লঞ্চের সময়। নিলাম চলবে এই বিশেষ  ‘মিশন সাকসেসফুল’ হওয়া অবধি।

এই লুনার মিশনের নেপথ্যে রয়েছে, দুটি এরোস্পেস ফার্ম– স্পেসবিট ও অ্যাস্ট্রোবটিক। অ্যাস্ট্রোবটিক শুরু করতে চলেছে স্পেস-ডেলিভারি সার্ভিস। ভবিষ্যতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি মহাশূন্যে ডেলিভারি দেবে তারা। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এই মিশনটি ধরে নেওয়া যায়। তবে চাঁদের মাটিতে মানুষের তৈরী চিত্রকলার প্রদশনী যে বেশ অভিনব উদ্যোগ তা বলাই বাহুল্য।

 

 

Tagged in:

,